মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, “আজকের এই দিনে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। ধন্যবাদ জানাই অন্তর্বর্তী সরকারকে, যারা দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।”
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমরা বিরোধী দলের সদস্য হিসেবে বারবার হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হয়েছি। কিন্তু আজকের এই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণ প্রত্যক্ষ করছি। সকল দল আজ শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছে, যা আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার জন্য আশাব্যঞ্জক।”
নুরুল হক আরও বলেন, “গত ৫৩ বছরে মুক্তিযুদ্ধের যে মূল আকাঙ্ক্ষা—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার—তা বাস্তবায়নে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করতে পারিনি। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আজ এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা, তারা মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।”
তিনি বলেন, “ছাত্র–জনতা ও তরুণ প্রজন্ম যেভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই পরিবর্তনকে টেকসই করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে।”
নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে দলগুলোর মতপার্থক্য থাকলেও ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতার আহ্বান জানান নুরুল হক। তিনি বলেন, “আজ একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।”
তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের লক্ষ্য ছিল বৈষম্যহীন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। এ লক্ষ্য পূরণে সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য সঠিক পথ অনুসরণ করবে।”